ইউএনবির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি নগর ব্যবস্থাপনার নানা রূপরেখা তুলে ধরে জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কাজ চলছে বলে জানান।
বিশিষ্ট পরিকল্পনাকারীদের একটি বড় দল জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য এক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘আমরা বর্ষাকালে ডিএসসিসিতে জলাবদ্ধতা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি। আমাদের সাথে কর্মরত নগর পরিকল্পনাকারীদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, সিটি করপোরেশন এলাকায় অনেকগুলো জলাশয় ভরাট করা হলেও, কিছু কিছু এখনও উদ্ধারযোগ্য রয়েছে।
‘যেসব খাল এবং জলাধারগুলো এখনও টিকে আছে আমরা যদি সেগুলোর পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে পারি এবং সঠিকভাবে পরিষ্কার করার পাশাপাশি সেগুলো দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে তা আমাদের জলাবদ্ধতা হ্রাস করতে সহায়তা করবে,’ যোগ করেন তাপস।
বিভিন্ন জলাশয় পুনরুদ্ধারের জন্য ডিএসসিসি সেগুলো চিহ্নিত করে কাজ শুরু করছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি জলাশয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ডিএসসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, ‘দখল হয়ে যাওয়া খাল ও জলাশয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে আমরা আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং এরপর সেগুলো আমরা পরিষ্কার রাখব। আমরা লক্ষ্য করেছি যে বাইরের বেশির ভাগ সংস্থাই কোনো জবাবদিহি ছাড়া কাজ করে।’
জলাশয়গুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার করা গেলে ঢাকার জলাবদ্ধতা ৭০ শতাংশ হ্রাস করা যাবে বলে দাবি করে তাপস জানান, ডিএসসিসি শিগগিরই পুরাতন বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধার প্রকল্প গ্রহণ করবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলছে বলেও জানান মেয়র। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র নির্মিত হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।